ইসরাফিল নাঈম, চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে: ভোলার চরফ্যাশনে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সামুদ্রিক ইলিশ আহরণ পরিবহন এবং ক্রয় বিক্রয় করার অপরাধে এফ ভি নাজমা নামক একটি ট্রলারকে ১৫,০০০ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) গভীর রাত ৩টা ৩০ মিনিটে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মেরিন ফিশারিজ অফিসার সহ মৎস্য বিভাগের অভিযান টিম বকশী মাছঘাটে গিয়ে ট্রলারের ১২০ কেজি ইলিশ মাছ এবং লাইসেন্স বই ও সিও আই সার্টিফিকেট জব্দ করেন।
জানা যায়, এফ ভি নাজমা নামক একটি ট্রলার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা সময়ের পূর্বে ফেরত আসতে পারে নাই। এ বিষয়ে ট্রলার মালিকের পক্ষ থেকে মৎস্য অফিস এবং সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবগত করে।
মৎস্য অফিস এবং প্রশাসন থেকে জানানো হয় যে, সামুদ্রিক মৎস্য আইন অনুসারে উক্ত আহরণ মাছ তাদের উপস্থিতিতে সংরক্ষণ করতে হবে। কিন্তু উক্ত ট্রলার মৎস্য বিভাগ এবং প্রশাসনকে অবগত না করে বকশী ঘাটে রাতের আধারে ভোর রাত ২.৩০ মিনিট হতে মাছ বিক্রি শুরু করে। পরে বিষয়টি বিশ্বস্ত সূত্রে অবগত হয়ে রাত ৩.৩০ ঘটিকায় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মেরিন ফিশারিজ অফিসারসহ মৎস্য বিভাগের অভিযান টিম বকশী মাছঘাটে গিয়ে উক্ত ট্রলারের ১২০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, জব্দকৃত ১২০ কেজি মাছের মধ্যে ৬৫ কেজি মাছ পচে যাওয়ায় কেরোসিন দিয়ে নষ্ট করা হয়। বাকি ৫৫ কেজি মাছ সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এর ৩ ধারা মোতাবেক ১৫,০০০ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করা হয়। এবং উক্ত ৫৫ কেজি মাছ দুইটি এতিম খানায় উপস্থিত জনসাধারণের সামনে বিরতণ করা হয়।
এছাড়াও উক্ত ট্রলারের লাইসেন্স বই জব্দ করা হয়েছে। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নদীতে ইলিশ ধরা, পরিবহন, বিক্রি, মজুদ ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য বিভাগ।